শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন
বাহুবল প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে হারভেস্টার মালিক সমিতির আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাহুবল সদর ইউনিয়ন অফিসে বসে এ কমিটি গঠন করা হয়। মোঃ নানু মিয়াকে আহব্বায় ও মোঃ ওয়াহিদ মিয়াকে যুগ্ম আহবায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়।
আগামী ২৯শে অক্টোবর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সৈয়দ মশিউর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান মাসুম, শহিদুল ইসলাম, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ রুবেল মিয়া, মহিবুর রহমান, আঃ আহাদ, মোঃ সালেহ উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ বাবুল মিয়া, মনিরুজ্জামান হাজী সেলিম, বাশার ,ইমাম শরীফ চৌধুরী, মোঃ এনাম মিয়া, দুলাল ভূইয়া, কামাল মিয়া, মোঃ ইয়াকুত আলী ও মোঃ তৌহিদ মিয়া।
উল্লেখ্য, ধান কাটা ও মাড়াইয়ের সুবিধার জন্য বাহুবলে কৃষকদের মাঝে সরকারী ৭০% ভর্তুকী দিয়ে বিতরন করা হয়েছিল বিভিন্ন কোম্পানির কম্বাইন হারভেস্টার। সেই মেশিন কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা।
হারভেস্টার মালিকরা জানান, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কম্বাইন হারভেস্টার বিকল হয়ে যাওয়া, সময়মতো বাজারে যন্ত্রাংশ না পাওয়া, পাওয়া গেলেও বাজারের তুলনায় দাম বেশি রাখা ও মেরামতে দেরি করার অভিযোগ করেন। কৃষকরা জানান, গত বছরের মাঝামাঝি এবং চলতি বছরের শুরুতে উপজেলার কৃষকদের মাঝেকম্বাইন হারভেস্টার ৭০% ভর্তুকি দামে দেয়া হয়। ওই সময় কোম্পানিটির পক্ষ থেকে কত কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তবে তার কিছুই পূরণ করা হয়নি। তারা অভিযোগ করেন, দুই বছর বিনা মূলে সেবা দেয়ার কথা থাকলেও ৬০০ ঘণ্টার সীমার বেঁধে দেয়া হয়। ছয় মাসের মধ্যেই এই ৬০০ ঘণ্টা হয়ে যায়। এ ছাড়া টেকসই খুচরা যন্ত্রাংশ (বেল্ট, কাটিং বেল্ট ইউনিট, নাট বোল্ট) প্রায়ই ভেঙে গেলেও কোম্পানি সঠিক সময়ে তা সরবরাহে ব্যর্থ হয়। মাঠে হারভেস্টার মেশিন চালানোর সময় সমস্যা হলে স্বল্প সময়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে মেরামতের সেবা দিতেও ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানী। তারা আরও অভিযোগ করেন, এসব কারণে হারভেস্টার মালিকরা আশানুরূপ আয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উপজেলার বাসিন্দা আলফু মিয়া বলেন, ‘ভর্তুকির আওতায় একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনেছিলাম। মেশিনটি নেয়ার সময় কোম্পানির মাঠকর্মীরা বলেছিল কাদামাটির মধ্যে পড়ে থাকা ধানও কাটা যাবে। লাভবান হতে পারবেন। ‘দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ যেকোনো সময় নষ্ট হলে ফ্রি সার্ভিসসহ ওই যন্ত্রাংশ দেয়ার কথা। কিন্তু কোনো কিছুই দেয়া হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধান কাটার সময় তিন মাসের মধ্যে একটি ব্লেড ভেঙে যায়। আশপাশের জেলায় না পেয়ে ঢাকা থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। ১২ হাজার টাকার ব্লেড ২৪ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে। ‘এ ছাড়া পাঁচ দিন বসে থাকতে হয়েছে। একদিকে যেমন খরচ বেশি পড়ল, অপরদিকে ধান কাটার সময়ও শেষ হয়ে গেল। মোট কথায় অনেক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে।’ মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুম অভিযোগ করেন, মেশিনের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে টেকনিশিয়ানরা সময়মতো যান না। তারা দক্ষও না। তিনি বলেন, ‘ধান কাটতে গিয়ে যদি প্রায় মেশিন নষ্ট হয়, তাহলে কীভাবে আমরা কাজ করব? চাকার বিয়ারিং, হাইড্রোলিকের বিয়ারিং নষ্ট হলেও পাওয়া যায় না। যদিও পার্টস পাওয়া যায় দাম বেশি নেয়।’ তার অভিযোগ, মেশিন নেয়ার সময় কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানির লোকজন ফাঁকা চেক নিয়ে হারভেস্টার সরবরাহ করেন। এখন তারা মামলার ভয় দেখিয়ে মেশিনটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছেন।